বিশ্বাসে ঘুন
মারিয়ার মা-বাবা পাত্র খুঁজতে খুঁজতে হন্যে হয়ে গিয়েছিল। মারিয়ার বয়স টিকটিক করতে করতে একুশে এসে দাড়িয়েছে। বয়স, অভিজ্ঞতা আর হতাশার ছোবলে তার শরীরের কোমলতাটুকু একটু একটু করে সুদুরে পাড়ি জমাচ্ছে। পাত্র পক্ষকে খুশি করার মত অবস্থা নেই মারিয়ার বাবার। যদিও মারিয়া অপরুপা সুন্দরী ছিল। কিন্তু বরপক্ষ কি আর সুন্দরী ধুয়ে পানি খাবে? বিয়ের আগেইতো বরপক্ষের ফায়েদা লোটার শেষ সুযোগটা। এটাই তো আবার এখনকার সভ্য সমাজের রীতিনীতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বরপক্ষ তো আর এটা....গরীবের ঘরে মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়া বড় অভিশাপ। হাজার সুন্দরী হলে কি হবে আজকের বিয়ে তো প্রাচীন পণ কড়ির প্রথার চেয়েও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। আজকালের বরপক্ষ আবার বলতে শুরু করেছে ছেলেকে লেখা পড়া শিখাতে হাজার হাজার টাকা খরচ করেছি সেটাতো পুশিয়ে নিতে হবে মেয়ের বাবার কাছ থেকে। ধীক! ধীক! আমাদের মনের কুলশতাকে। আমাদের দেশে আইন আছে ঠিকই। কিন্তু তার সুষ্ঠ প্রয়োগ দেখিনা। এমনি সময় মারিয়ার স্কুলের চাকরীটা হয়ে যায়। এর পিছনে তার অক্লান্ত পরিশ্রম কাজে আসেনি। এক্ষেত্রে অবশ্যই তার সৌন্দর্য কাজে লেগেছে। চাকরী পাওয়ার পর তার আর বিয়ে হতে দেরি হয় নি।
Read More
No comments:
Post a Comment