তবুও তুমি
পুর্বের পরে
স্কুল
থেকে ফেরার সময়
আবার আকাশের সাথে
ওর দেখা হয়। আকাশের
ফ্যাল ফ্যাল করে
চায়ুনি শিউলীকে পাগল
করে ফেলে, তার
মনের মধ্যে ষোলটি
বছর লুকিয়ে রাখা
কথাটি চোখের ভাষায়-
সত্যিই বলছো-আকাশ
বলে, আই লাভ
ইউ, শিউলি বলে। তারপর
আঁকা বাকা নদীর
স্রোতের মতো তারা
সমান তালে ছুটে
চলে একে অন্যের
পাশা পাশি থেকে। এদিকে
আকাশ পড়াশুনা সব
বাদ দিয়ে শুধু
শিউলীকে নিয়ে ব্যস্ত
থাকে।
এমনি করে এক
সময় তার হারিয়ে
যায় প্রেম-ভালবাস
নামক রঙ্গিন জগতে
যেখানে স্বপ্নের সাথে
বেলী ফুলের মালা
নিয়ে দুজনের বাসর
সাজিয়ে দেয়।
সেখানে শুধু আনন্দ
আর উল্লাস এবং
একে অন্যের মাথায়
হাত রেখে শপথ
করে কেউ কাউকে
কোন দিন ছেড়ে
যাবে না।
এমনকি মরতে হলেও
দু’জনে
এক সাথে মরবে;
যদি পৃথিবীর সকল
কিছু আর শিউলীকে
দেওয়া হয় তবে
যেন আকাশ শিউলীকেই
বেছে নেবে; অনুভবে
বোঝা যায়।
এমনি আরও অনেক
কিছু।
এমনি ভাবে হাজার
রজনীর বাসর রচনা
করে বনে জঙ্গলে
মাঠে ঘাটে কিন্তু
তারা জানতো না
সমাজের চোখে তাদের
প্রেম ভালবাসার অবাদ
মিলন মারাত্মক অপরাধ। তারপর
সমাজের সমাজ পতিদের
অপবাদের ভয়ে একদিন
আকাশ পা রাখে
অজানা পথে।
অন্যদের নির্দয়, নিষ্ঠুর
আচরনে শিউলী পৃথিবীর
মাঝে তার জীবনের
ছন্দ হারিয়ে ফেলে;
তবুও আজও সে
আকাশকে ভুলে যেতে
পারেনি তার জীবন
থেকে।
আজ দশ বছর
অবধি আকাশের কোন
খোঁজ খবর মেলেনি
তার চোখে, মেলেনি
আকাশের পরিবারের চোখেও। এক
সময় শিউলী ঘুমের
কোলে ঢলে পড়ে। স্বপ্নের
রঙিন পাতায় আকাশের
প্রতিচ্ছবিটা
ধরা পড়ে; আকাশকে
দেখতেই চমকে উঠে
ও।
আকাশকে কাছে ডাকে
শিউলী; তখন আকাশ
চিৎকার করে বলে-না! তা
হয় না!
কেন?
শিউলী বলে।
-কারণ সমাজ
তোমাকে আমাকে মেনে
নিতে পারে না।
-আমি বিশ্বাস
করি না; শিউলী
বলে।
শিউলী
আকাশের উদ্দেশ্যে বলে তুমি
ফিরে এসো।
আকাশ
চিৎকার করে বলে-না! না!
তা হয় না!
কিন্তু
তবুও তুমি.....বলতে
যাবে এমন সময়
স্বপ্ন বিদায় নিল। শিউলী
চোখের পাতা থেকে;
সে সংবিৎ ফিরে
পেল।
তখন হু হু
করে কেঁদে ওঠে
শিউলী আর বলে-
না! না! মানি
না! মানি না!
মা-নি-না!
ও কেঁদে চলে
একটানা জীবনের পরাজিত
প্রান্তে।
ওর কান্œা
প্রতিধ্বনি
হয়ে ফিরে আসে
তুমি...............।
ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
No comments:
Post a Comment